হিন্দু ধর্মের ১০টি অমীমাংসিত রহস্য যা আপনি জানেন না !



হিন্দু ধর্মের ১০টি অমীমাংসিত রহস্য যা আপনি জানেন না !
10 unsolved mysteries of Hindu religion which you do not know!

আজ আমি আপনাদেরকে হিন্দু ধর্মের ১০টি অমীমাংসিত রহস্য সম্পর্কে বলবো । হিন্দু ধর্ম এবং প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখিত এমন কিছু রহস্য যা এখন পর্যন্ত অমীমাংসিত এবং এর কিছু রহস্য সম্ভবত মানুষ কখনই জানতে পারবেনা । তাহলে আসুন জেনে নেই হিন্দু ধর্মের গোপন ও অজানা তথ্য সম্পর্কে ।

 প্রথম রহস্য দ্বারকা নগরী : মহাভারত বা পুরাণমতে, পাণ্ডবদের হস্তিনাপুর জয়ের পর, শ্রীকৃষ্ণ মথুরার পরিবর্তে দ্বারকা নগরীতে থাকতে শুরু করেন। ‌যা বর্তমানে গুজরাটে অবস্থিত। শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা নগরী বর্তমানে রয়েছে গুজরাটের আরব সাগরের পানির নিচে। আর তার সন্ধান মিলেছে সমুদ্রবিজ্ঞানীদের কাছে। বিজ্ঞানীদের মতে এটি হচ্ছে বিশ্বের সবথেকে রহসময় নগরীর মধ্যে একটি ।
দ্বিতীয় রহস্য কৈলাস মন্দির : যদিও ভারতে অসংখ্য গুহা ও মন্দির রয়েছে কিন্তু অজন্তা ইলোরার মন্দির এর সব থেকে আলাদা । অনেকে বলে থাকেন যে এই গুহা গুলো এলিয়েনরা বানিয়েছে অথবা এলিয়েনদের সাহায্য নিয়ে বানানো হয়েছে । গুহাগুলোতে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের মন্দিরের স্বাক্ষর রয়েছে। চল্লিশ লক্ষ্য টন ওজনের পাথর কেটে এই মন্দিরটি কিভাবে বানানো হয়েছিল তা আজও অজানা রয়ে গেছে ।

 তৃতীয় রহস্য হচ্ছে দশ মাথা বিশিষ্ট, উড়তে পারে, ও ইচ্ছাধারী সাপ : সাপ একটি রহস্যময় প্রাণী । হিন্দু ধর্মে সাপের একটি বিশেষ গুরত্ব রয়েছে । ভারতে নাগ জাতির অনেক ইতিহাস রয়েছে । বলা হয়ে থাকে ঋষি কশ্যপের স্ত্রী কদ্রুর থেকে সাপ জাতির জন্ম হয় । অনন্ত নাগ, সিস নাগ, বাসুকী নাগ, তক্ষক, পিঙ্গলা এই পাচ নাগের অধিপত্ত এক সময় ভারতবর্ষে ছিল । এছাড়া মহাভারতে ইচ্ছাধারী নাগেরও উল্লেখ পাওয়া যায় ।

 চতুর্থ রহস্য পরশ মনি: পরশ মনি যাকে ইংরেজিতে Philosopher's Stone বলা হয় । বলা হয়ে থাকে এটার স্পর্শে যেকোনো বস্তু সোনায় পরিনত হয় । এজন্য বাংলায় একে পরশ পাথরও বলা হয়। মনি হচ্ছে এক ধরনের উজ্জল আলো বিশিষ্ট পাথর । মনিকে হীরার শ্রেণীতে রাখা যায় । পরশ মনিকে অনেক সময় সঞ্জীবণী সুধা বলা হয়ে থাকে। এর মধ্যে পূণঃর্জীবন বা অমরত্ত্ব প্রদানের ক্ষমতাও আছে। মহাভারতে অশ্বত্থামার কাছে একটি মনি ছিল যার মাধ্যমে শে শক্তিশালী ও অমর হয়ে গিয়েছিল। দশানন রাবন কুবেরের কাছ থেকে চন্দ্রকান্ত নামক মনি ছিনেয়ে এনেছিলেন । এছাড়াও মহাভারতে রাজা সত্যজিতের কাছে স্যমন্তক মণি নাম একটি মনি ছিলো যা প্রতি দিন স্বর্ণ মুদ্রা দান করতো ।

 পঞ্চম রহস্য সঞ্জীবনী বুটি : রামায়ণে উল্লেখ রয়েছে সঞ্জীবনী বুটির। এই সঞ্জীবনী ঔষদের মাধ্যমে মৃত বেক্তিকে আবার জীবিত করা যেত । অসুরু গুরু শুক্লাচারী মৃত সঞ্জীবনী বিদ্যা সম্পর্কে জানতেন । অনেকে মনে করেন হিমালয়ের অঞ্চলবর্তী দ্রোণগিরি পর্বতেই রয়েছে সঞ্জীবনী গাছের শিকড়।

 ষষ্ঠ রহস্য কল্পবৃক্ষ : বেদ এবং পুরানে কল্পবৃক্ষের উল্লেখ পাওয়া যায় । কল্পবৃক্ষ হচ্ছে স্বর্গের প্রধান বৃক্ষ । দেবতারা সমুদ্র মন্থনের মাধ্যমে এই বৃক্ষটি লাভ করেন । পরবর্তিতে দেবরাজ ইন্দ্র এই বৃক্ষটি হিমালয় পর্বতের উত্তরে সুরকানন্দ বনের মধ্যে রেখে আসেন ।

 সপ্তম রহস্য সোমরস : সোমরস আসলে কি ছিল তা আজও সবার অজানা । সোমরস সম্পর্কে অনেক কিছুই শুনা যায় । মহাভারতে ভীম সোমরস পান করে দশ হাজার হাতির শক্তি লাভ করেছিলেন ।

 অষ্টম রহস্য অমৃত : সমুদ্র মন্থনের মাধ্যমে দেবতারা অমৃত লাভ করেন । যার ফলে অমৃত পান করে দেবতারা অমরত্ব লাভ করেন । অমৃত কলস নিয়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে অনেক ভয়ানক যুদ্ধ হয়েছিল । যদিও বিজ্ঞানীরা এমন ঔষদ তৈরির পরিকল্পনা করছেন যা খেলে মানুষের আয়ু একস বছর বেড়ে যাবে ।

 নবম রহস্য মহান যুদ্ধা বর্বরিক : বর্বরিক ছিলেন ভীমের পুত্র ঘটককোচের ছেলে । বর্বরিকের কাছে যেসব দিব্য অস্র ছিল যা অর্জুন, ভীষ্ম , এমনকি কর্ণের কাছেও ছিল না । একটি মাত্র বান মেরে মহাভারতের যুদ্ধ শেষ করার ক্ষমতা বর্বরিকের কাছে ছিলো ।

 দশম রহস্য সুদর্শন চক্রের রহস্য: হিন্দুপুরাণে সুদর্শন চক্রকে সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে সুদর্শন চক্র যার উপর চূড়া হয় তার পিছন পিছন গিয়ে তাকে হত্যা করে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসে । এই সুদর্শন চক্রের অধিপতি হচ্ছেন বিষ্ণু ।

 তাহলে চলুন ঘুরে আসি এই অজানা রহস্য- এর সন্ধানে ।

For more details please Contact Us....... Jabeto Cholo International Tours & Travels....... 9230003999.

Comments

Popular posts from this blog

DREAM QUEEN INDIA

Journey To Vizag